ট্রাকের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

 


ট্রাকের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা, ০৪ অগাস্ট : কলকাতার বেহালায় বড়িশা হাইস্কুলের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যুর পর সেই হট্টগোলে আহত হয়েছেন আটজন।  আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনই পুলিশ সদস্য।  এর মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক রূপেশ কুমার।  তার মাথায় চোট লাগে।  তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মাথায় আঘাতের সিটি স্ক্যান করা হয়।  এদিকে গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।  কলকাতা পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।  এদিকে, বেহালায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


শুক্রবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বেহালায়।  স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাটি বোঝাই একটি লরি দ্রুত গতিতে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও তার বাবাকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ডায়মন্ড হারবার রোডে বিক্ষোভ শুরু করে।  বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন সড়কে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


 বেহালায়, স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয়দের পাশাপাশি বড়িশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।  সোমবার সকালে এই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র স্বর্ণিল সরকারকে একটি ট্রাক চাপা দেয়।  ছাত্রীর বাবাও গুরুতর আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের এক ছাত্রের মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত ছিলেন।  তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “পুলিশ আগে ব্যবস্থা নিলে আমি আমার ছাত্রকে হারাতাম না।”  


 তিনি বলেন, “আমাদের স্কুলের সামনে নয়।  আমাদের স্কুলে চার চাকা নিয়ে কেউ আসে না।  বেশিরভাগ সাইকেল নিয়ে আসে। এই স্কুল থেকে এর আগেও অনেক সাইকেল চুরি হয়েছে, চোরকে ধরে পুলিশে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”


 তিনি দাবি করেন, বিদ্যালয় খোলার সময় প্রতিদিনই যানজট দেখা গেলেও তা সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় না।  গণমাধ্যমের সামনে কাঁদতে কাঁদতে প্রধান শিক্ষক বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করছি।


 কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল ঘটনাটি তদন্ত করতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।  তিনি বলেন, ‘যা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।  পুলিশ যে ছিল না বা নেই তা নয়।  আগের তুলনায় এ সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা এখন কম।  পুলিশ আধিকারিকদের সচেতন হওয়ায় এমনটি হয়েছে।  তবে কেন এ ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।


 



from Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata | https://www.breakingbangla.com/2023/08/blog-post_892.html

Post a Comment

0 Comments